আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে সদ্য পাস করা একজন ছাত্র।পরিবারের স্বপ্ব ছিলো লেখাপড়া শেষে বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখভাল করব। অভাবের দিনে মা-বাবার সহায়ক হবো। এখন নিজেই পরিবারের বোঝা হয়ে আছি।করোনার এ সময়ে কত কষ্টে জীবনযাপন করছি তা বুঝানো যাবে না। কান্না কাতর হয়ে এসব বলছেন আবদুর রহিম।
করোনার এ মহামারির কারণে সবকিছুই যে আটকে দিবে কখনো ভাবতে পারেনি কেউ।দুয়েকটা চাকরির সার্কুলার দিলেও অধিকাংশ কোন সার্কুলার নেই। কখন চাকরির পরীক্ষা হবে তা কারো জানা নেই।কখন এদেশ থেকে জনদুর্ভোগ মহামারি শেষ হবে বা কখন আবার চাকরির পরীক্ষা নেওয়া শুরু করবে কেউ জানে না।
আমাদের মধ্যে যারা বেকার জীবনযাপন করছে;যাদের চাকরির অনেক বেশি প্রয়োজন, তাদের জীবনটা এই মহামারির কারণে একটা অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে।
রহিম কান্না বিজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, তার বাবা মায়ের বয়স হয়েছে, এখন তার পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার কথা। কিন্তু এই মহামারির কারণে তিনি সেটা করতে পারছেন না।
প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর শেষ করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন।কিন্তু করোনার এ প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের জীবন অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।