করোনায় উপার্জন বন্ধ হলেও সবজি চাষে পরিবারের চাহিদা মিটাচ্ছেন ঢাবি শিক্ষার্থী

মহামারী করোনা ভাইরাসে প্রকোপে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই  ঘরবন্দী সারাদেশের প্রায় সব শিক্ষার্থী। আর বন্ধ হয়েছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই সময় পার করছেন অনলাইনে।

আবার অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করছেন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার বালাই না থাকায় অনেকে বিভিন্ন রকমের বই পড়ে সাহিত্যের একটা জায়গা আয়ত্ত করার চেষ্টা করছেন। আবার কেউ উল্লেখযোগ্য কোনকিছুই না করে অলসতায় কাটাচ্ছেন এই বিশাল ছুটি।

আর এ বন্ধের বিশাল গুরুত্বপূর্ণ সময়টাকে কাজে লাগিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী মোঃ আব্দুস সালাম। তিনি করছেন এক ব্যতিক্রমধর্মী।গ্রামের  বাড়ির পাশে অবহেলায় পড়ে থাকা ৫ কাঠা জমিতে তিনমাস যাবৎ পরিশ্রম করে ফলিয়েছেন চাল-কুমড়া, করোলা, ঝিঙ্গা, ঢেঁড়স, বেগুন, সবুজ শাকসহ অন্যান্য সবজি।

বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলে হয়ত টিউশনি করেই চলতেন আব্দুস সালাম এবং পাশাপাশি পরিবারকেও সহায়তা করতেন প্রতি মাসে। করোনায় টিউশনি বন্ধ হয়ে গেলে আর্থিক সমস্যায় পড়ে এই শিক্ষার্থীর পরিবার।

পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশির চাহিদাও মিটাচ্ছে তার বাগানের সবজি এমনটাই বলছে এ শিক্ষার্থী।  ঊর্ধমুখী এই বাজারে তার পরিবার ও প্রতিবেশিকে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে না। তার আবাদকৃত ফসল শুধু পারিবারিক এবং প্রতিবেশীদের চাহিদাই মিটাচ্ছে না, অতিরিক্ত ফসল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে হাতে আসছে নগদ টাকাও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, বাংলাদেশ জনবহুল একটি দেশ। এদেশের কয়েককোটি শতক জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে থাকে। তাছাড়াও বাড়ির আঙিনায় রয়েছে অনেক জমি। সবাই যদি এইসব অনাবাদি জমি কাজে লাগাতে পারে তাহলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বলে তিনি আশাবাদী।