ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়েছেন ১২ বছর। বরাবরই ভালো ফলাফলের তালিকায় ছিল তার নাম। এসএসসি ও এইচএসসি দুটোতেই গোল্ডেন জিপিএ। এর পরেই তার স্বপ্নগুলো বড় হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে।
এখান থেকেই এমবিবিএস পাস করেছেন তিনি। অনেকটা হেয়ালি করেই যেন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ধরে নিয়েছিলেন হয়তো পাস করবেন। তবে এভাবে প্রথম হয়ে যাবেন সেটা কখনও তিনি কল্পনা করেননি। যশোরের মেয়ে উর্মিতার গল্প এটি। তিনি বড় হয়েছেন ঢাকায়। জানালেন, বিসিএস নিয়ে তেমন আগ্রহ ছিল না তার।
টার্গেট ছিল সার্জারিতে ক্যারিয়ার গড়বেন। এজন্য বিসিএসে অংশ নেন তিনি। ভবিষ্যতে সার্জারিতে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে আগ্রহী উর্মিতা মোটামুটি পড়াশোনা করেই ৩৭তম বিসিএসে অংশ নেন। এ পরীক্ষায় তিনি স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম হন তিনি। উর্মিতা দত্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন।
চূড়ান্ত পেশাগত পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উর্মিতা প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদকও লাভ করেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউরোসার্জারি বিষয়ের রেসিডেন্ট হিসেবে উচ্চতর প্রশিক্ষণ (এমএস) গ্রহণ করছেন।
উর্মিতা জানান, আমি বিসিএসে আশাবাদী ছিলাম না। আসলে আমি সার্জারিতে ক্যারিয়ার করব তো সেজন্যই মূলত বিসিএস দেয়া। এটার জন্য যে খুব সিরিয়াসলি পড়াশোনা করা হয়েছে, তা কিন্তু না। মোটামুটি পড়াশোনা করেছি, তার মধ্যেই হয়ে গেছে। আমি মনে করেছিলাম পাস করব হয়তো। কিন্তু এত বড় সাফল্য পাব সেটা চিন্তাও করিনি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে উর্মিতা দত্ত মেডিভয়েসকে বলেন, আমি বিএসএমএমইউতে নিউরোসার্জারিতে রেসিডেন্টে আছি। ওটা কমপ্লিট করব। আর আমার ইচ্ছা আছে, নিউরোসার্জারিতে দেশের বাইরে থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নেয়ার। উর্মিতার বাবা উত্তম দত্ত একজন ব্যবসায়ী।
মা শিখা দত্ত গৃহিণী। সরকারি চাকরি দিয়ে পেশাজীবন শুরু করে দেশের মানুষের পাশেই থাকার ইচ্ছা উর্মিতার। শল্যচিকিৎসায় গবেষণার ব্যাপারেও রয়েছে তার ব্যাপক আগ্রহ। অনিরাময়যোগ্য রোগ নিয়েও কাজ করার ইচ্ছা আছে। রাস্তার পাশে জন্মগত ত্রুটি নিয়ে বেড়ে ওঠা অসহায় শিশুদেরও সাহায্য করতে চান। সুযোগ পেলে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে চান উর্মিতা।