বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির জটিলতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। এজন্য প্রার্থীদের নির্ধারিত ছকে তথ্য পূরণ করে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়ালি স্ট্যাম্পসহ পাঠাতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, এনটিআরসিএ’র তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মেমিস সফটওয়্যারে আবেদন দাখিল করা হচ্ছে। অধিকাংশ মাদ্রাসার এমপিওশিটে শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে। এমপিওশিটে সকল শিক্ষক-কর্মচারীর পদ এবং বিষয় মুদ্রিত না থাকায় জনবল কাঠামো অনুযায়ী প্রাপ্যতা আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া সম্ভবপর হয় না। ভুল বা অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির ফলে সরকারি অর্থের অপব্যবহার হলে ভবিষ্যতে জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
উল্লিখিত সমস্যা সমাধানে নতুন শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণের জটিলতা নিরসনের লক্ষে ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা, বিদ্যমান এমপিওশিট, বেতন বিল, শিক্ষক কর্মচারীর তালিকা এবং শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে পদবী ও বিষয় নির্ধারণ পূর্বক মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারীর স্বাক্ষরযুক্ত সর্বশেষ এমপিওশিটের অনুরূপ কপি প্রয়োজন।
এমতাবস্থায় এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণের লক্ষে জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর পরিশিষ্ট ‘ঙ’তে নতুন এমপিও’র জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ৩০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা, বিদ্যমান এমপিওশিট, বেতন বিল, শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা এবং শিক্ষা সনদের ভিত্তিতে পদবী ও বিষয় নির্ধারণপূর্বক মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারীর স্বাক্ষরযুক্ত সর্বশেষ এমপিওশিটের অনুরূপ কপি, অনলাইন এমপিও আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।