স্বপ্ন বিসিএস না থেকেও সম্মান রক্ষায় ক্যাডার হচ্ছেন তরুণরা

রহমান সাহেবের বোনের বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো আজকে। আসছে ঈদের তিন দিন পর বিয়ে। ছেলে বিসিএস ক্যাডার। তবে রহমান সাহেবের ষোলকলা পুরণ হয়নি। প্রথম দিকে ২/৩ টা পাওয়ারফুল সেক্টরের ক্যাডার খুজেছিলেন। তার বোনটার পড়াশোনায় দুর্বল থাকায় পাওয়া যায়নি শেষ পর্যন্ত।

তবুও রহমান সাহেব একটু হাফ ছেড়ে বাচলেন। বোনটাকে নিয়ে টেনশনটা একটু কমলো। অনেক দিন যাবত বোনের পাত্র খুজছিলেন। এই বাজারে ছেলের অভাব নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠিত ভালো একটা ছেলে পাওয়া, বাজারে ভেজালমুক্ত পণ্য পাওয়ার মতই দুস্কর।

রহমান সাহেব পরিচয় হলো সাংবাদিকতায় পড়াশোনা না করলেও, খুব ভালো লিখতে পারেন। অনলাইন জার্নাল এবং নিউজ পেপারে নিয়মিত লেখালেখি করেন।

বর্তমানে বিসিএস ক্রেইজের সমানুপাতে বাড়ছে বিসিএস বিরোধীদের সংখ্যাও। নিউজ পেপারে ‘বিসিএসই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়’, ‘বিসিএস পেলেই জীবন সফল, না পেলেই বৃথা?’ টাইপের লেখা হরহামেশাই চোখে পড়ছে। বৃদ্ধরা তরুণদের বিসিএসমুখীতার সমালোচনা করছেন, এক শ্রেণির ক্যাডার বা বিসিএস মোটিবেশনাল স্পীকারদের ইচ্ছে মতো ধুইয়ে দিচ্ছেন। তবুও কমছে না তরুণদের বিসিএস প্রীতি (৪০ তম বিসিএস এ ১৯০৩ পদের বিপরীতে ৪১২০০০ প্রার্থী)

কেইস স্টাডি-১: মিস্টার এক্স জিলা স্কুলের প্রথম সারির ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও সায়েন্স না নিয়ে কমার্স নিয়েছিল, সার্টিফাইড চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট হবেন, দেশের বিজনেস সেক্টর সমৃদ্ধ করবেন বলে।

আরো পড়ুন: ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি আগস্টে, শূণ্য পদ ২ হাজার ১৩৫

কেইস স্টাডি-২: মিস্টার ওয়াই নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করেছে। পড়াশোনা শেষ করে অন্যদের মতো সরকারি চাকরি না খুঁজে ১৫ হাজার টাকা বেতনে টেক্সটাইল সেক্টরে ঢুকেছে। দুই বছর চাকরিকালে তার বন্ধুরা বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করে।

কেইস স্টাডি-৩: মিস্টার জেড দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জেনেটিক ইঞ্জানিয়ারিং এ পড়ে রিসার্চের পাশাপাশি বিসিএসের জন্য একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছে।

দ্রষ্টব্যঃ এখানে তিনটি কেইস স্টাডিই লেখকের বাস্তব জীবন অভিজ্ঞতা থেকে নেওয়া হয়েছে।

লেখক: রবিউল আলম লুইপা
৩৫ তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)